কাবাডি বাজি: বাংলাদেশীদের জন্য সেরা অপশন এবং বেটিং গাইড
কাবাডি বাজি ধরার জন্য বাংলাদেশের সেরা বেটিং সাইট অপশনগুলো থেকে বেছে নিন আপনারটি। বেটিং এর জন্য অন্যান্য খেলার তুলনায় কাবাডির নিয়মাবলী ও স্কোরিং সিস্টেম বেশ আলাদা। এ কারনে বর্তমানে বেটিং জন্য কাবাডি একটি ভিন্নধারার অপশন।
আমাদের এই গাইডটি কাবাডি বেটিং এর তৈরি যেখানে আমাদের বিশেষজ্ঞরা খেলাটির ইতিহাস, নিয়মাবলী, বেটিং অডস, বেটিং মার্কেট, সেরা বুকমেকার বেছে নেয়ার কৌশলসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন। এছাড়াও কাবাডি বেটিং সেরা ৩টি বুকমেকার ছোট করে রিভিউও করেছেন।
বাংলাদেশের সেরা কাবাডি বেটিং সাইটগুলো ২০২৪
পাওয়া গেছে: 9 বুকমেকার
-
- উন্নত অ্যান্ড্রয়েড/আইওএস অ্যাপস
- প্রবর্ধিত অডস
- দ্রুত উত্তোলনের সময় (৩-৫ মিনিটের মধ্যে প্রক্রিয়া সম্পন্ন)
- ১০০০+ লাইভ ইভেন্ট প্রতিদিন
১০০% প্রথম ডিপোজিট বোনাস, ১২০০০ টাকা পর্যন্ত
T&C প্রযোজ্য, BeGambleAware.org
-
- ১৫ মিনিটের মধ্যে উত্তোলন
- প্রধান ইভেন্টে ৯৬% পর্যন্ত পেআউট
- প্রতিটি ইভেন্টে ১,৩০০+ বেটিং মার্কেট
- গুরুত্বপূর্ণ স্পোর্টস ইভেন্টে সরাসরি দেখার সুবিধা
প্রথম জমার উপর ২০০০০ টাকা পর্যন্ত স্বাগতম বোনাস
T&C প্রযোজ্য, BeGambleAware.org
-
- অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
- ২৪/৭ গ্রাহক সেবা
- প্রতিযোগিতামূলক অডস
- ১৫-৩০ মিনিটের মধ্যে টাকা উত্তোলন
- ১০ টিরও বেশি পেমেন্ট পদ্ধতি
- প্রতিদিন লক্ষাধিক মার্কেট
৫০% পর্যন্ত ওয়েলকাম বোনাস, সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা
T&C প্রযোজ্য, BeGambleAware.org
-
- অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস এর জন্য অ্যাপ
- ২৪/৭ গ্রাহক সেবা
- ৫-১০ মিনিটের মধ্যে উইথড্রয়াল
- ৪০টি স্পোর্টসে বেটিং এর সুযোগ
- দেশি-বিদেশি পেমেন্ট মেথড
- দৈনিক ৫,০০০ ইউরো সমপরিমাণ পর্যন্ত উইথড্রয়াল
২৫০০০ টাকা পর্যন্ত প্রথম ডিপোজিট বোনাস
T&C প্রযোজ্য, BeGambleAware.org
-
- স্মার্টফোনে ৩০,০০০+ লাইভ ইভেন্টে বাজি ধরা যায়।
- ২০,০০০+ ইভেন্টে ৯৫% পর্যন্ত অডস।
- ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, ক্রিপ্টোকারেন্সিতে আরও দ্রুত।
- ১০০% পর্যন্ত স্বাগত বোনাস, সর্বোচ্চ ১০০ ইউরো।
- বিটকয়েন সহ ৪০+ পেমেন্ট অপশন।
১০০% পর্যন্ত ওয়েলকাম বোনাস, সর্বোচ্চ ১২০০০ টাকা
T&C প্রযোজ্য, BeGambleAware.org
-
- অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস এর জন্য দারুণ অ্যাপ
- ২৪/৭ গ্রাহক সেবা
- অসাধারণ অডস
- ২ দিনের মধ্যে টাকা উত্তোলনের সুবিধা
- ২২টি ডিপোজিট ও ২১টি উইথড্রয়াল মেথড
- দৈনিক ৩০,০০০ এর বেশি বেটিং মার্কেট
প্রথম ডিপোজিটের উপর ১২০০০ টাকা পর্যন্ত স্বাগতম বোনাস
T&C প্রযোজ্য, BeGambleAware.org
-
- অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস এর জন্য অ্যাপ
- ২৪/৭ গ্রাহক সেবা
- প্রতিযোগিতামূলক অডস থেকে ভালো মার্জিন পাওয়ার সুযোগ
- কয়েক ঘন্টার মধ্যে টাকা উত্তোলন
- দেশি-বিদেশি মিলিয়ে প্রায় ৪৯টি পেমেন্ট মেথড
- প্রতিদিন ২০,০০০ এর বেশি মার্কেট
প্রথম জমার উপর স্বাগত বোনাস, সর্বোচ্চ ৩৫০০০ টাকা
T&C প্রযোজ্য, BeGambleAware.org
-
- iOS ও Android এর জন্য চমৎকার অ্যাপ।
- প্রতিযোগিতামূলক অডস যা অনেক গেমের জন্য প্রযোজ্য।
- ই-ওয়ালেট এর মাধ্যমে ২৪ ঘন্টার মধ্যে উত্তোলন।
- ওয়েলকাম বোনাসে ১০০% ম্যাচ বোনাস।
- ৩০০+ স্পোর্টস মার্কেট এবং ৫০+ ক্যাসিনো গেম।
- লাইভ চ্যাট এবং ফোন সহ ২৪ ঘণ্টা সহায়তা।
প্রথম জমায় ১৩৭৬৪ টাকা পর্যন্ত স্বাগতম বোনাস
T&C প্রযোজ্য, BeGambleAware.org
-
- অ্যান্ড্রয়েড/আইওএসের জন্য চমৎকার অ্যাপ্লিকেশন
- প্রতিটি খেলায় গড় অডস 1.95 এর মধ্যে থাকে, যা বাজারে অন্যান্যদের চেয়ে প্রায় 5% বেশি।
- গড়ে অর্থ উত্তোলনের সময় 24 ঘন্টার মধ্যে।
- ২৪/৭ গ্রাহক সেবা সহায়তা
১২৫% পর্যন্ত প্রথম ডিপোজিট বোনাস
T&C প্রযোজ্য, BeGambleAware.org
বিষয়বস্তু
- কাবাডির ইতিহাস এবং নিয়মাবলী
- বাংলাদেশে কাবাডি বেটিং কীভাবে শুরু করবেন
- কাবাডি বেটিং এর জন্য সেরা ৩ বুকমেকার
- বিভিন্ন ধরনের কাবাডি বেট
- কাবাডি বেটিং এর অডস সম্পর্কে যা জানা দরকার
- জনপ্রিয় কাবাডি লিগ ও টুর্নামেন্ট
- কাবাডি বেটিং টিপস ও কৌশল
- কাবাডি লাইভ বেটিং
- কাবাডি বেটিং এর বোনাস ও প্রোমোশন
- নির্ভরযোগ্য কাবাডি বেটিং সাইট নির্বাচন প্রক্রিয়া
- সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)
কাবাডির ইতিহাস এবং নিয়মাবলী
কাবাডি বাংলাদেশের জাতীয় খেলা যা হা-ডু-ডু নামে পরিচিত। তবে এটি একটি অতি প্রাচীন খেলা, যা প্রায় ৪,০০০ বছর ধরে চলছে। ধারনা করা হয় এর উৎপত্তি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে। এছাড়াও মহাভারতের কাহিনীতে এর উল্লেখ রয়েছে বলে অনেকেই বিশ্বাস করে। কুরুক্ষেত্রের গল্পে যেখানে অভিমান্যুকে শত্রু শিবিরের মধ্যে ঢুকে লড়াই করতে হয়, যেমনটা কাবাডির "রেইডার" প্রতিপক্ষের কোর্টে মধ্যে ঢুকে খেলে।
সেসময় থেকেই কাবাডি আত্মরক্ষা, শারীরিক শক্তি, ক্ষিপ্রতা, এবং প্রতিক্রিয়া সময় বা রিয়্যাকশন টাইম বেটার করার জন্য খেলা হতো। ভারতে অনেক বৈদিক স্কুলের ছাত্ররা নিয়মিত এ ধরনের শারীরিক কসরতে অংশ নিত বলে জানা যায়।
আধুনিক কাবাডির সূত্রপাত বিংশ শতকের প্রথম দিকে। কিছু কিছু সোর্সের তথ্যমতে, ১৯১৮ সালে এর প্রথম নিয়মাবলী তৈরি করা হয় এবং জাতীয় খেলা হিসেবে অনুমোদন করা হয়। কিন্তু অলিম্পিক ওয়েবসাইটের তথ্যমতে ভারতের কোন জাতীয় খেলা নেই, যদিও অনেকেই হকি, কাবাডি, বা ক্রিকেট বলে ভুল করে থাকে।
অন্যান্য সোর্সের মতে, ১৯২১ এ প্রথম এর নিয়মাবলী বানানো হয় যা ১৯২৩ এ বিলুপ্ত করা হয় নতুন নিয়মের কারনে। সেই নতুন নিয়মে হয় ১৯২৩ সালের অল ইন্ডিয়া কাবাডি টুর্নামেন্ট।
আন্তর্জাতিকভাবে এটি ১৯৩৬ সালে বার্লিন অলিম্পিকে প্রদর্শনীর মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করে। ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় অল ইন্ডিয়া কাবাডি ফেডারেশন। এর দুই বছর পর, ১৯৫২ সালে, সিনিয়রদের নিয়ে আলাদা টুর্নামেন্ট শুরু হয়। ১৯৫৫ সালে পর্যায়ক্রমে মহিলাদের জন্যও টুর্নামেন্ট চালু করা হয়।
বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে খেলাটির জনপ্রিয়তা পুরো ভারতে ছড়িয়ে পরায় ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন উদ্যোগে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় অ্যামেচার কাবাডি ফেডারেশন। ওজন ৮০ এর কম এবং বয়স ২০ এর কম এমন খেলোয়াড়দের নিয়ে কাজ করাই এর উদ্দেশ্য। একই বছর, অর্থাৎ ১৯৭২ সালে কাবাডিকে বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এশিয়ার প্রথম টুর্নামেন্ট ১৯৮০ সালের এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ। দুই বছর পর, ১৯৮২ সালে দিল্লির এশিয়ান গেমসেও এর প্রদর্শনী হয়। এরও দুই বছর পর বাংলাদেশের ঢাকায় অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান গেমস বা সাফ (SAF) এ কাবাডি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
১৯৯০ সালে এশিয়ান গেমসে প্রতিযোগিতামূলক খেলা হিসেবেও কাবাডির অন্তর্ভুক্তি হয়। সময়ের সাথে সাথে কাবাডি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, বিশেষত দক্ষিণ এশিয়া ও ইউরোপের কয়েকটি অঞ্চলে। ২০০৪ সালে ভারতের মুম্বাই-এ অনুষ্ঠিত হয় প্রথম কাবাডি ওয়ার্ল্ডকাপ। ইরানকে হারিয়ে প্রথম বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।
কাবাডির জগতে সর্বশেষ সংযোজন ২০১৪ সালে শুরু হওয়া প্রো কাবাডি লীগ বা পিকেএল। বর্তমানে কাবাডির দুটি প্রধান ধরন রয়েছে: "সার্কেল স্টাইল", যা গ্রামীণ এলাকায় খেলা হয়, এবং "স্ট্যান্ডার্ড স্টাইল", যা পেশাদার লিগগুলোতে খেলা হয়।
কাবাডি মূলত একটি লড়াকু খেলা বা কম্ব্যাটিভ স্পোর্ট যেখানে দুটি দল থাকে এবং প্রতিটি দলের ৭ জন করে মোট ১৪ জন খেলোয়াড় থাকে। তবে দলে সাধারণত বদলির কথা মাথায় রেখে ১২ জন থাকে। প্রতি দলে ১ জন রেইডার, ৩ জন স্টপার, এবং ৩ জন কভার ডিফেন্ডার থাকে।
খেলার মাঠটিও দুই অংশে বিভক্ত থাকে। যদিও আগে মাটিতে বা কাদায় খেলা হত, বর্তমানে প্রায় সব টুর্নামেন্টেই কাবাডি ম্যাটে খেলা হয়। ম্যাটের চারদিকে ৪টি বাউন্ডারি লাইন থাকে এবং মাঝে একটি মিড লাইন থাকে। এছাড়াও মিড লাইন থেকে কিছুটা দূরে একটি বক (baulk) লাইন ও একটি বোনাস (bonus) লাইন থাকে যা দুই অংশেই একটি করে লবি (lobby) তৈরি করে।
খেলার মূল উদ্দেশ্য হল একটি দলের রেইডার প্রতিপক্ষের অংশে প্রবেশ করে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে যতজনকে সম্ভব ছুঁয়ে নিজ অংশে ফিরে আসা। এসময় প্রতিপক্ষেরে ডিফেন্ডাররা রেইডারকে আটকানোর চেষ্টা করে। আটকাতে পারলে সে দল ১ পয়েন্ট পায়।
রেইডারকে পুরো সময় রেইডারকে "কাবাডি" শব্দটি একটানা বলতে হয় যা শোনা যায় “কাবাডি…কাবাডি…কাবাডি…কাবাডি” এর মত। এটি মূলত ব্যবহৃত হয় রেইডার যে নিঃশ্বাস নিচ্ছে না তার প্রমাণ হিসেবে। যদি রেইডার একটানা বলতে না পারে তবে সে আউট হয়ে যায়। আর যদি সফলভাবে নিজের লবিতে ফিরে আসতে পারে তবে সে অনুয়ায়ী পয়েন্ট পায়।
আবার রেইডার প্রতিপক্ষের যেসব খেলোয়াড়কে ছুঁয়ে ফিরে আসতে পারে তারাও আউট। পরবর্তী রেইডে প্রতিপক্ষের রেইডার যদি স্কোর করতে পারে তবে আউট হওয়া খেলোয়াড়রা একই ক্রম অনুসরণ করে মাঠে ফিরতে পারে।
বিষয়টি আরও ভালোভাবে বুঝার জন্য নিচের পয়েন্টগুলো দেখুন:
- স্কোরিং: রেইডার প্রতিটি আউট করা খেলোয়াড়ের জন্য ১ পয়েন্ট পায়। যদি পুরো দল আউট হয়ে যায় (অল-আউট) তখন প্রতিপক্ষ দল অতিরিক্ত ২ পয়েন্ট পায়। ম্যাচ শেষে যে দলের স্কোর বেশি সে দল জয়ী। তবে ড্র হলে ৭ মিনিটের একটি মিনি ম্যাচের দ্বারা ফলাফল নির্ধারিত হয়।
- ম্যাচের সময়কাল: একটি কাবাডি ম্যাচ সাধারণত ৪০ মিনিট হয়, যা ২০ মিনিটের দুটি অর্ধে বিভক্ত। দুই অর্ধের মাঝে ৫ মিনিটের বিরতি থাকে। তবে মহিলা এবং জুনিয়রদের ম্যাচগুলো ৩০ মিনিটের হয়।
- প্লেয়ার পরিবর্তন: প্রতিটি টিম ম্যাচে সর্বাধিক ৫ বার প্লেয়ার পরিবর্তন করতে পারে, তবে আউট হওয়া খেলোয়াড়দের পরিবর্তন করা যায় না।
বর্তমানে চলমান কাবাডির দুটি প্রধান ফরম্যাট হল সার্কেল কাবাডি এবং স্ট্যান্ডার্ড কাবাডি। নিয়মগুলো কম-বেশি একই হলেও দুটি ফরম্যাটের মধ্যে মাঠের আকার এবং খেলার ধরণে পার্থক্য রয়েছে।
সার্কেল কাবাডি:
- মাঠের আকার: এই ফরম্যাটের খেলা হয় গোলাকার মাঠে যার ব্যাস সাধারণত ২২ থেকে ২৮ মিটার।
- খেলার ধরণ: রেইডার এবং ডিফেন্ডাররা বৃত্তাকার পথে ঘুরতে পারে। খেলার স্টাইল এখানে অনেকটাই শারীরিক শক্তি এবং প্লেয়ারদের মধ্যে যোগাযোগের উপর নির্ভরশীল। সময়ের কোন বাধ্যবাধকতা এখানে নেই।
- জনপ্রিয়তা: সার্কেল কাবাডি বিশেষত উত্তর ভারত, পাকিস্তান এবং ইরানে জনপ্রিয়। এটি কাবাডির আদি ভার্শনের একটি রূপ। কাবাডি বিশ্বকাপ এবং ওয়ার্ল্ড কাবাডি লিগ এ এই ফরম্যাটে খেলা হয়।
স্ট্যান্ডার্ড কাবাডি:
- মাঠের আকার: এই ফরম্যাটের খেলা হয় একটি আয়তাকার মাঠে, যার মাপ পুরুষদের জন্য ১৩মি x ১০মি এবং মহিলাদের জন্য ১২মি x ৮মি।
- খেলার ধরণ: রেইডারকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ট্যাগ করে ফিরে আসতে হয়, এবং ডিফেন্ডাররা চেইন বা ব্লক তৈরি করে রেইডারকে আটকানোর চেষ্টা করে। রেইডার বের হতে না পারলে প্রতিপক্ষ পয়েন্ট পায়।
- জনপ্রিয়তা: এই ফরম্যাটটি এশিয়ান গেমস, কাবাডি বিশ্বকাপ (স্ট্যান্ডার্ড স্টাইল) এবং প্রো কাবাডি লিগ (PKL) এ খেলা হয়। এটি আন্তর্জাতিকভাবেও সর্বাধিক পরিচিত ফরম্যাট হিসেবে বিবেচিত হয়।
বাংলাদেশে কাবাডি বেটিং কীভাবে শুরু করবেন
বাংলাদেশে কাবাডি বেটিং শুরু করতে নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন:
- কাবাডি বেটিং সাইট নির্বাচন করুন
আমাদের উল্লেখিত কাবাডি বেটিং সাইটগুলো থেকে যেকোনো একটি নির্বাচন করুন। আরও বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের রিভিউগুলোও পড়ে নিতে পারেন। - অ্যাকাউন্ট খুলুন
বেটিং সাইট পছন্দ হয়ে গেলে সেটিতে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে ফেলুন। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হতে ৫ মিনিটের বেশি সময় লাগা উচিত না। - টাকা ডিপোজিট করুন
বাজি ধরার জন্য টাকা দরকার তাই ব্যবহারযোগ্য পেমেন্ট মেথডগুলোর মধ্য থেকে একটি বেছে নিন। বাংলাদেশে সাধারণত বিকাশ, রকেট, উপায়, শিওরক্যাশ, ও ক্রিপ্টোকারেন্সি দিয়ে বেটিং করা যায়। মনে রাখবেন যে মেথড দিয়ে ডিপোজিট করবেন সেটি দিয়েই উইথড্রয়ালও করতে হবে। - মার্কেট খুঁজে নিয়ে বেট ধরুন
আপনার অ্যাকাউন্টে টাকা ডিপোজিট হয়ে যাওয়ার পর বেটিং সাইটের মেন্যু থেকে কাবাডি নির্বাচন করুন। সেখানে সব টুর্নামেন্টগুলো এক জায়গায় থাকে। এরপর আপনার পছন্দমত ম্যাচ বেছে নিয়ে বেট স্লিপে অ্যাড করে দিন।
কাবাডি বেটিং এর জন্য সেরা ৩ বুকমেকার
আমরা আপনার জন্য বাংলাদেশে কাবাডি বেটিং সেরা ৩টি বুকমেকার বা বেটিং সাইট নির্বাচন করেছি। চলুন তাদের বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক।
-
Baji
Baji বর্তমানে বাংলাদেশ বেশ জনপ্রিয় একটি বেটিং সাইট যেখানে আপনি কাবাডির সকল ইভেন্টে বাজি ধরতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে মেন্যু থেকে I-Sports নির্বাচন করে Kabaddi অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় ইভেন্ট প্রো কাবাডি লিগ যার অনেকগুলো মার্কেট Baji তে রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল টস উইনার, প্রথম অর্ধ, দলের মোট স্কোর, প্লেয়ার রেইড পয়েন্ট, ইত্যাদি।
Baji প্ল্যাটফর্মে বেট করার আরেকটি কারন হতে পারে এর ওয়েলকাম বোনাস যেখানে আপনি প্রথম ডিপোজিটে ৭৭% ম্যাচ হিসেবে ৭,৭৭৭ টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। যদিও প্রোমোশন পেজে ক্যাসিনো বোনাসের সংখ্যাই বেশি, একটু স্ক্রল করলেই স্পোর্টস বোনাসটি পাওয়া যাবে। বোনাসটি ক্লেইম করার জন্য কমপক্ষে ৫০০ টাকা ডিপোজিট করতে হবে। এই টাকা মেইন অ্যাকাউন্টে আনতে হলে ৭ বার ওয়েজার করতে হবে।
- সুবিধা
- ৭৭% ম্যাচ ওয়েলকাম বোনাস
- অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
- ২৪/৭ গ্রাহক সেবা (হোয়াটসঅ্যাপ, ইমেইল, ফেসবুক)
- বাংলাদেশী পেমেন্ট মেথড যেমন বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায়, শিওরক্যাশ, ইত্যাদি
- সীমা
- আইওএস অ্যাপ নেই
- সব ম্যাচে লাইভ স্ট্রিমিং নেই
-
1xBet
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে 1xBet বেশ জনপ্রিয় ও সম্মানিত একটি বেটিং সাইট। বাংলাদেশ থেকে আপনি সহজেই সাইন আপ করে কাবাডিতে বাজি ধরতে পারবেন। এর জন্য প্রথমেই স্পোর্টস মেন্যু থেকে কাবাডি অপশনটি সিলেক্ট করে এভেইলেবল ম্যাচগুলো লিস্ট করে নিন। মেইন স্ক্রিনে ১x২ বেটের অডসগুলো দেয়া থাকে। এরপর যেকোনো ম্যাচে ক্লিক করলে অন্যান্য মার্কেটগুলোও পেয়ে যাবেন।
উল্লেখযোগ্য কিছু মার্কেটের মধ্যে রয়েছে মোট স্কোর, দুই অর্ধের স্কোর, স্কোর জোড়/বেজোড়, এক্স্যাক্ট পয়েন্ট ডিফারেন্স, ইত্যাদি।
1xbet এর ওয়েলকাম বোনাসটিও দারুণ। আপনার প্রথম ডিপোজিটের উপর পাচ্ছেন ১০০% ম্যাচ, সর্বোচ্চ ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত। কমপক্ষে ১২০ টাকা ডিপোজিট সম্পন্ন হলেই বোনাসের টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার অ্যাকাউন্টে যোগ হয়ে যাবে। এরপর এটি ৩০ দিনের মধ্যে ৫ বার ওয়েজার করতে হবে। ওয়েজারিং এর জন্য শুধু একুমুলেটর বেটই প্রযোজ্য যেখানে কমপক্ষে ৩টি সিলেকশন থাকতে হবে এবং প্রতি সিলেকশনের অডস কমপক্ষে ১.৪০ হতে হবে।
- সুবিধা
- ১০০% ম্যাচ ওয়েলকাম বোনাস ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত
- অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ
- ১৫টি ডিপোজিট ও ১৭টি উইথড্রয়াল মেথড
- ২৪/৭ গ্রাহক সেবা (লাইভ চ্যাট, ফোন, ইমেইল)
- সীমা
- ইন্টারফেস কিছুটা পুরনো ধাঁচের
-
Melbet
কাবাডি বেটিং এর জন্য Melbet আমাদের অন্যতম পছন্দের একটি সাইট। এখানেও আপনি প্রো কাবাডি লিগসহ জনপ্রিয় সকল ইভেন্টেই বাজি ধরতে পারবেন। এর মার্কেটগুলো অনেকটাই 1xbet এর মত অর্থাৎ আপনি ম্যাচের ফলাফল, হ্যান্ডিক্যাপ, দুই অর্ধের স্কোর, মোট স্কোর ইত্যাদি মার্কেটে বাজি ধরতে পারবেন।
Melbet এর ওয়েলকাম বোনাস থেকে সর্বোচ্চ ১২,০০০ টাকা জেতা সম্ভব যা আপনার প্রথম ডিপোজিটের উপর ১০০% ম্যাচ। বোনাসটি চালু করার জন্য ন্যূনতম ডিপোজিট মাত্র ১০০ টাকা।
উইথড্র করার জন্য বোনাসের টাকা ৩ সিলেকশনের একুমুলেটর বেটে ৫ বার ওয়েজার করতে হবে যেখানে প্রতি সিলেকশনের অডস হবে কমপক্ষে ১.৪০। ওয়েজারিং সম্পূর্ণ করার জন্য যথারীতি ৩০ দিন সময় পাবেন।
- সুবিধা
- ১০০% ম্যাচ ওয়েলকাম বোনাস ১২,০০০ টাকা পর্যন্ত
- অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অ্যাপ
- ২২টি ডিপোজিট ও ২১টি উইথড্রয়াল মেথড
- ২৪/৭ গ্রাহক সেবা (লাইভ চ্যাট, ফোন, ইমেইল)
- সীমা
- সীমিত কাবাডি ইভেন্ট
বিভিন্ন ধরনের কাবাডি বেট
কাবাডি খেলায় বাজি ধরতে গেলে বুকমেকারগুলো অনেক ধরনের মার্কেট অফার করে থাকে। সেগুলো সম্পর্কে ভালোভাবে না জানলে আপনি সর্বোচ্চ রিটার্ন পাবেন না। আমাদের বিশেষজ্ঞরা আপনার জন্য ছোট একটি গাইড এখানে তৈরি করে দিয়েছন।
ম্যাচ আউটকাম
এখানে বেটররা অনুমান করে কোন দল ম্যাচটি জিতবে। প্রো কাবাডি লিগের মতো টুর্নামেন্টে ভারত বা ইরান প্রায়ই ফেভারিট হয়। তবে প্রতিরক্ষা বা আক্রমণের মাধ্যমে বাংলাদেশে বা নেপালের মত আন্ডারডগ দলও চমক দেখাতে পারে। এটি নতুন বেটরদের জন্য পারফেক্ট একটি মার্কেট।
১x২
1x2 মার্কেট অনেকটা ম্যাচ আউটকামের মতই তবে এখানে ৩টি বেট থাকে যেগুলো হল:
- টিম ১ জিতবে (১)
- ম্যাচ ড্র হবে (x)
- টিম ২ জিতবে (২)
কাবাডিতে পয়েন্ট সবসময়ই বাড়তে থাকার কারনে ড্র কম হয়। তবে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচে ড্র হতেই পারে যেখানে এই মার্কেট কাজে লাগে।
প্রতিটি অর্ধের স্কোর
যেহেতু একটি কাবাডি ম্যাচ দুটি অর্ধে বিভক্ত থাকে, জনপ্রিয় স্পোর্টসবুকগুলো প্রতি অর্ধের স্কোর অনুমান করার মার্কেট অফার করে থাকে। যেমন প্রথম অর্ধে একটি দল এগিয়ে থাকলে দ্বিতীয় অর্ধে হেরে যেতে পারে। এটি বেশ উত্তেজনাপূর্ণ হওয়ার জনপ্রিয়ও বটে।
এই মার্কেটে বেট করার জন্য আপনাকে দলগুলোর কৌশল ও খেলোয়াড়দের ফর্ম সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে। বিশেষত প্রো কাবাডি লিগের মতো প্রতিযোগিতামূলক টুর্নামেন্টে প্রায়ই দলগুলো দ্বিতীয় অর্ধে ভালো খেলে।
ওভার/আন্ডার
ওভার/আন্ডার বেটিং-এ বেটররা অনুমান করে যে ম্যাচের মোট পয়েন্ট নির্দিষ্ট কোন সংখ্যার ওপরে না নিচে যাবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি লাইন ৮০ পয়েন্টে সেট করা থাকে, বেটররা অনুমান করতে পারে যে মোট পয়েন্ট ৮০-এর ওপরে না নিচে হবে।
আপনার যদি দলগুলোর স্কোর করার ক্ষমতা, ডিফেন্স এবং ম্যাচের পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার অভ্যাস থেকে থাকে তাহলে এই মার্কেটে সাফল্য পেতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে কাবাডির মত একটি হাই স্কোরিং ম্যাচে এই বেটে সাফল্য পাওয়া কষ্টসাধ্য।
সঠিক পয়েন্ট পার্থক্য/এক্স্যাক্ট পয়েন্ট ডিফারেন্স
এই মার্কেটে বেটররা অনুমান করে কত পয়েন্টের ব্যবধানে একটি দল জিতবে বা হারবে। এই মার্কেটটি চ্যালেঞ্জিং হলেও যারা দলগুলোর পারফরম্যান্স গ্যাপ সম্পর্কে ভালোভাবে জানে, তাদের জন্য লাভজনক।
কাবাডি খেলায় আমরা দেখেছি ম্যাচগুলো বড় ব্যবধানে বা ছোট ব্যবধানে শেষ হতে পারে। আপনি যদি এই মার্কেটে বেট করতে চান তলে ফর্ম, খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং ম্যাচের গতিশীলতা সম্পর্কে গভীর জ্ঞান আহরণ করার চেষ্টা করুন।
হ্যান্ডিক্যাপ
হ্যান্ডিক্যাপ বেটিং-এ একটি দলকে পয়েন্টের সুবিধা বা অসুবিধা দেওয়া হয় যেন ম্যাচের সমতা বজায় থাকে। উদাহরণস্বরূপ, যদি ভারত একটি দুর্বল দলের বিপক্ষে খেলে, ভারতকে -১০ পয়েন্ট হ্যান্ডিক্যাপ দেওয়া হতে পারে।
অর্থাৎ, ভারতকে কমপক্ষে ১০ পয়েন্টের ব্যবধানে জিততে হবে। কাবাডির মতো খেলায় হ্যান্ডিক্যাপ বেটিং জনপ্রিয়, কারণ এটি শক্তিশালী ও দুর্বল দলের মধ্যে ম্যাচকে আরও উত্তেজনাপূর্ণ করে তোলে।
অন্যান্য খেলায় বেটিং এর তুলনায় কাবাডি বেটিং কিছুটা আলাদা যেহেতু এর নিয়ম আলাদা। এর ম্যাচগুলো মাত্র ৪০ মিনিটের হওয়ায় দ্রুত স্কোরিংয়ের প্রয়োজন হয়। একারণে লাইভ বাজি ধরা আরও চ্যালেঞ্জিং।
তাছাড়া, খেলাটির শারীরিক প্রকৃতি এবং দলগত সমন্বয় বাজির কৌশলে প্রভাব ফেলে। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ম্যাচের ফলাফলকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। ফুটবল বা ক্রিকেটের মতো খেলাগুলির তুলনায় কাবাডিতে দীর্ঘ সময় ধরে ইভেন্ট বিশ্লেষণের সুযোগ নেই।
কাবাডি বেটিং এর অডস সম্পর্কে যা জানা দরকার
যেকোনো ধরনের বেটিংয়ে অডস হল একটি নির্দিষ্ট ফলাফলের সম্ভাবনা বোঝায়। একই সাথে কোন একটি বেট থেকে কত টাকা জেতা সম্ভব তাও নির্দেশ করে। তবে এটি নির্ভর করে ম্যাচের ফেভারিট ও আন্ডারডগের উপর।
উদাহরণস্বরূপ, যদি ভারতকে জয়ী হিসেবে ফেভারিট ধরা হয়, তাহলে তাদের অডস কম হবে। এর মানে ভারত জিতলে অল্প পরিমাণে অর্থ পাবেন। অন্যদিকে, যদি বাংলাদেশ মত কোন আন্ডারডগ দলের উপর বাজি ধরেন যেখানে অডস বেশি, তাহলে বাজি জিতলে বড় রিটার্ন পাওয়া সম্ভব।
অডস বিভিন্ন ফরম্যাটে প্রকাশ করা হয়, যেমন ডেসিমাল, ফ্র্যাকশনাল, বা আমেরিকান। ২.৫ ডেসিমাল অডস মানে হল প্রতি ১০০ টাকার বাজির বিপরীতে আপনি ২৫০ টাকা জিতবেন, যেখানে আপনার মূল বাজিও অন্তর্ভুক্ত। বেটর হিসেবে আপনার উচিত বিভিন্ন বুকমেকারের অডস তুলনা করে কোন ইভেন্টের জন্য সর্বোচ্চ অডস খুঁজে বের করা।
কাবাডিতে অডস বিশ্লেষণের জন্য দলের সাম্প্রতিক ফর্ম এবং পারফরম্যান্সের সঙ্গে অডসের তুলনা করতে হয়। যেমন, যদি অডস ইঙ্গিত করে ম্যাচের ফলাফল খুব কাছাকাছি হবে কিন্তু আসলে একটি দল বেশি ভালো খেলে, তাহলে অডসের বিপক্ষে বাজি ধরা একটি কৌশলগত সিদ্ধান্ত হতে পারে। অডস এবং খেলোয়াড়ের ফর্ম এবং ম্যাচ পরিস্থিতি সম্পর্কে জ্ঞান একত্রিত করে সফল বেটিং সম্ভব।
জনপ্রিয় কাবাডি লিগ ও টুর্নামেন্ট
বাংলাদেশে কাবাডি বেটিং করতে আপনাকে বিভিন্ন লিগ ও টুর্নামেন্ট সম্পর্কে জানতে হবে। চলুন দেখে নেওয়া যাক বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় টুর্নামেন্টগুলো কি কি। একঝলকে সেগুলো হল:
টুর্নামেন্ট | অংশগ্রহণকারী দলের সংখ্যা | সময়কাল |
প্রো কাবাডি লিগ | ১২ | প্রতি বছর অক্টোবর-ডিসেম্বর |
কাবাডি বিশ্বকাপ (স্ট্যান্ডার্ড স্টাইল) | ১২ | অনির্ধারিত |
কাবাডি বিশ্বকাপ (সার্কেল স্টাইল) | ১২ | প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি |
সাউথ এশিয়ান গেমস | ৭ | প্রতি দুই বছর পর পর এপ্রিল-মে |
এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ | ১০ | অনির্ধারিত |
প্রো কাবাডি লিগ (PKL)
বর্তমানে কাবাডির সবচেয়ে জনপ্রিয় আসর প্রো কাবাডি লিগ (PKL)। এর যাত্রা শুরু ২০১৪ সালে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বা আইপিএল (IPL) এর সাফল্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এর উৎপত্তি হয়েছে বলে ধারনা করা হয়।
PKL এর শুরু হয় মাশাল স্পোর্টস ও ডিজনি স্টারের হাত ধরে। এর সহপ্রতিষ্ঠাতা চারু শর্মা, আনন্দ মাহিন্দ্রা ও অনুপম গোস্বামী। এটি আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন (IKF) দ্বারা অনুমোদিত একটি টুর্নামেন্ট।
প্রথম মৌসুম থেকেই PKL ভারতের শীর্ষস্থানীয় খেলোয়াড়দেরকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি উত্তেজনাপূর্ণ টুর্নামেন্ট তৈরি করেছে। এর ফলাফল হয়ে যেমনটি প্রতিষ্ঠাতারা চেয়েছিলেন তেমনটাই। খেলাটি নিয়ে বিশ্বব্যাপী আকর্ষণ তৈরি হয়েছে যা কাবাডি বেটিং এর জন্য বড় খোরাক।
কালের বিবর্তনে লিগটি তার আট দলের মূল কাঠামো থেকে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ১২টি দলে পরিণত হয়েছে।
এই ১২টি দল হল:
- Bengal Warriorz (বেঙ্গল ওয়ারিয়রজ)
- Bengaluru Bulls (বেঙ্গালুরু বুলস)
- Dabang Delhi K.C. (দাবাং দিল্লি কে.সি.)
- Gujrat Giants (গুজরাট জায়ান্টস)
- Haryana Steelers (হরিয়ানা স্টিলারস)
- Jaipur Pink Panthers (জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থারস)
- Patna Pirates (পাটনা পাইরেটস)
- Puneri Paltan (পুনেরি পালটান)
- Tamil Thalaivas (তামিল থালাইভাস)
- Telugu Titans (তেলেগু টাইটানস)
- U Mumba (ইউ মুম্বা)
- UP Yoddhas (ইউপি ইয়োধ্যাস)
প্রো কাবাডি লিগ মূলত একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক সিস্টেম অনুসরণ করে, যা IPL ও এর মতো অন্যান্য লিগের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। দলগুলো বিভিন্ন কর্পোরেট হাউস, সেলিব্রিটি এবং ক্রীড়াপ্রেমীদের মালিকানাধীন।
প্রতিটি মৌসুম সাধারণত ২ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত চলে, এবং ডাবল রাউন্ড-রবিন ফরম্যাটের পর প্লে-অফ হয়। লিগ পর্বে দলগুলো একে অপরের সাথে ২টি করে মোট ২৪টি ম্যাচ খেলে। এখান থেকে শীর্ষ দলগুলো নকআউট পর্ব, সেমিফাইনাল ও ফাইনালে ওঠে।
বিগত বছরগুলোতে পাটনা পাইরেটস, জয়পুর পিঙ্ক প্যান্থার, এবং হরিয়ানা স্টিলারস এর মতো দলগুলো নিজেদের শক্তিশালী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। একারনে বেশিরভাগ বেটিং মার্কেটেই এসব দল ফেভারিট।
কাবাডি বিশ্বকাপ (স্ট্যান্ডার্ড স্টাইল)
কাবাডি খেলার অন্যতম প্রধান ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট কাবাডি বিশ্বকাপ। এর আয়োজক আন্তর্জাতিক কাবাডি ফেডারেশন (IKF)। এখন পর্যন্ত মোট তিনটি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে যার সবগুলোই ভারত জিতেছে। এই তিনটি আসর হয়েছে যথাক্রমে ২০০৪, ২০০৭, ও ২০১৬ সালে। ২০১২ সালে প্রথম নারী কাবাডি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় এবং সেটিও ভারতই জেতে।
তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, পাকিস্তান এবং অন্যান্য দেশের দলগুলো উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে, যার ফলে প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হয়েছে।
এই টুর্নামেন্টের উদ্দেশ্য হল বিশ্বের সেরা কাবাডি দলগুলোকে একত্রিত করা। পুরুষদের টুর্নামেন্ট মোট ১২টি দেশ অংশ নিতে পারে তবে এই সংখ্যা পরিবর্তনযোগ্য।
আমরা এখানে যে বিশ্বকাপের কথা বলছি তা খেলাটির স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাট অনুসরণ করে। যেখানে বিভিন্ন দল রাউন্ড-রবিন পর্যায়ে প্রতিযোগিতা করে, এরপর নকআউট পর্বে পৌঁছায়, যার মধ্যে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল অন্তর্ভুক্ত থাকে। প্রতিটি দল তাদের গ্রুপের অন্যান্য দলগুলোর সঙ্গে ম্যাচ খেলে, এবং শীর্ষ দলগুলো নকআউট পর্বের জন্য যোগ্যতা অর্জন করে।
বেটিং এর ক্ষেত্রে বিশ্বকাপের জনপ্রিয়তা প্রো কাবাডি লিগের মত না হলেও খারাপ না। এর জনপ্রিয়তা কম হওয়ার মূল কারন হল নিয়মিত অনুষ্ঠিত না হওয়া। যেখানে PKL তার ১১ বছরে ১১টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে সেখানে বিশ্বকাপ হয়েছে মাত্র ৩ টি। প্রতি আসরেই ফেভারিট থাকে ভারত।
কাবাডি বিশ্বকাপ (সার্কেল স্টাইল)
কাবাডি বিশ্বকাপের দুটি সংস্করণ রয়েছে যার স্ট্যান্ডার্ড স্টাইল আমরা ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি। সার্কেল স্টাইলের বিশ্বকাপটি মূলত ভারতের পাঞ্জাব অঞ্চলে সরকারিভাবে আয়োজিত হয়। এর নিয়মগুলো স্ট্যান্ডার্ড বিশ্বকাপ থেকে বেশ আলাদা। কম জনপ্রিয় হলেও এটি একটি আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট যেখানে ১২টি দল অংশগ্রহণ করে। ২০১০ এ শুরু হওয়ার পর থেকে ২০১৫ বাদে এটি প্রতি বছরই হয়ে আসছে।
২০১০ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত প্রতিটি আসরই ভারত জিতেছে। সর্বশেষ ২০২১ এর আসর জিতেছে পাকিস্তান। এই বিশ্বকাপের বিশেষ নিয়মগুলো হল:
- রেইডার শুধুমাত্র একজন ডিফেন্ডারকে স্পর্শ করতে পারে। যদি রেইডার একাধিক ডিফেন্ডারকে স্পর্শ করে, তবে ডিফেন্ডিং দলকে একটি পয়েন্ট দেওয়া হয়।
- শুধুমাত্র একজন ডিফেন্ডার রেইডারকে থামাতে পারে। যদি একাধিক ডিফেন্ডার রেইডারকে থামাতে চায়, তবে রেইডিং দল একটি পয়েন্ট পায়।
- রেইডারকে "কাবাডি" বলতে বলতে প্রতিপক্ষের কোর্টে যেতে হয় এবং ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ফিরে আসতে হয়। সময়সীমা অতিক্রম হলে, প্রতিপক্ষ দল একটি পয়েন্ট পায়।
- যদি কোন খেলোয়াড় খেলার সময় সীমারেখা বা মধ্যরেখা অতিক্রম করে, তবে প্রতিপক্ষকে পয়েন্ট দেওয়া হয়।
- একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হল পালা। এটি মাঠে একটি গেটের মত দেখতে জায়গা যা রেইড সম্পূর্ণ করতে হলে রেইডারকে পাস করতেই হবে।
সাউথ এশিয়ান গেমস (SAF Games)
১৯৮৫ সালে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর থেকে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ অন্যান্য দেশের দলগুলো কাবাডি খেলায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। দক্ষিণ এশীয় গেমস বা SAF গেমসে কাবাডি স্ট্যান্ডার্ড স্টাইলে খেলা হয়, যা অন্যান্য আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টের মতোই।
সাধারণত ৭ থেকে ৮টি দেশ কাবাডি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে। ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, এবং মাঝে মাঝে আফগানিস্তান ও ভুটান এই প্রতিযোগিতায় নিয়মিত অংশ নেয়। পুরুষ ও মহিলা উভয় বিভাগের দল আলাদা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
যেহেতু কাবাডি সাফ গেমসের একমাত্র খেলা নয়, এখানে মূল্যায়ন হয় পদক দিয়ে, অনেকটা অলিম্পিক এর মত।
অন্যান্য অনেক টুর্নামেন্টের মতই ভারত সবচেয়ে সফল দল। তারা পুরুষ বিভাগে মোট ১০টি স্বর্ণপদক জিতেছে এবং নারীদের বিভাগেও বেশ কয়েকবার স্বর্ণপদক পেয়েছে। যেহেতু খেলাটির উৎপত্তি ভারতে, তাই ভারতীয় দল শক্তিশালী খেলোয়াড়দের নিয়ে গঠিত এবং তারা প্রায়ই বড় ব্যবধানে জয়লাভ করে।
এরপর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রতিদ্বন্দী হল বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান। বিশেষত বাংলাদেশ নিয়মিত রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদক জিতে থাকে। শ্রীলঙ্কা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ উন্নতি করেছে এবং ২০১৯ সালে প্রথমবারের মতো পুরুষদের বিভাগে রৌপ্য পদক জিতেছে।
কাবাডি বেটিং টিপস ও কৌশল
এখানে আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাবাডি বেটিং টিপস এবং কৌশল শেয়ার করছি যা আপনাকে সফলভাবে বাজি ধরতে সাহায্য করবে:
- ফরম্যাট এবং নিয়মগুলো বুঝুন: বাজি ধরার আগে নিশ্চিত করুন যে আপনি কাবাডির যে ফরম্যাটে বাজি ধরছেন, তা সম্পূর্ণভাবে বোঝেন। যেমন প্রো কাবাডি লিগ বা এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপ একই ফরম্যাট ব্যবহার করে কিন্তু কাবাডি বিশ্বকাপ (সার্কেল স্টাইল) তা করে না। প্রতিটি ফরম্যাটের নিজস্ব খেলার ধরন, ম্যাচের সময়কাল এবং স্কোরিং সিস্টেম রয়েছে, যা বাজির ফলাফলে প্রভাব ফেলে।
- দলগুলোর শক্তি এবং সাম্প্রতিক ফর্ম বিশ্লেষণ করুন: বাজি ধরার আগে প্রতিটি দলের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স পরীক্ষা করুন। উদাহরণস্বরূপ, ভারত এবং ইরান আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলোতে প্রায়ই আধিপত্য বিস্তার করে, কিন্তু সাম্প্রতিক ফর্ম এবং খেলোয়াড়দের আঘাতের তথ্য বাজির ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারে। একই জিনিস প্রো কাবাডি লিগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
- দলীয় পরিবর্তনের দিকে নজর রাখুন: দলের লাইনআপের পরিবর্তনের দিকে নজর দিন। শক্তিশালী রেইডার বা ডিফেন্ডারকে পরিবর্তন করা হলে খেলায় বড় পরিবর্তন আসতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পবন সেহরাওয়াত বা নবীন কুমার এর মতো খেলোয়াড় মাঠে না থাকলে অডস পরিবর্তন হতে পারে।
- হোম বনাম অ্যাওয়ে পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করুন: কাবাডিতে হোম অ্যাডভান্টেজ সাধারণত বড় প্রভাব ফেলে। দল হোম ভেন্যুতে খেলার সময় ভালো পারফরম্যান্স করতে পারে যেহেতু এটি তাদের পরিচিত পরিবেশ। যেহেতু লিগের খেলাগুলো অনেক ভেন্যুতে হয়, জায়গাভেদে পারফরম্যান্স পরিবর্তন হতে পারে।
- লাইভ বেটিং সঠিকভাবে ব্যবহার করুন: ইন-প্লে বা লাইভ বেটিং আপনাকে ম্যাচের অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে বাজি ধরার সুযোগ দেয়। প্রথম কয়েক মিনিট পর্যবেক্ষণ করে কোন দল সুবিধা পাচ্ছে তা বোঝা আপনার সিদ্ধান্তকে আরও নির্ভুল করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি একটি দল শুরুতে শক্তিশালী হয়, তবে তাদের দ্বিতীয় অর্ধের পারফরম্যান্সে বাজি ধরা যেতে পারে।
কাবাডি লাইভ বেটিং
লাইভ বেটিং এমন একটি ফিচার যার মাধ্যমে আপনি চলমান কাবাডি ম্যাচে বাজি ধরতে পারেন। খেলা চলাকালীন বিভিন্ন ইভেন্টের উপর ভিত্তি করে অডস পরিবর্তিত হয়। কিছু সহজলভ্য মার্কেটের মধ্যে রয়ছে:
- একটি সফল রেইড বা ট্যাকল
- ম্যাচের বিজয়ী
- দ্বিতীয় অর্ধের পয়েন্ট
- খেলোয়াড়ের পারফরম্যান্স
প্রি-ম্যাচ বা ফিক্সড অডস বেটিং এর থেকে লাইভ বেটিংয়ের কিছু সুবিধা রয়েছে। সেগুলো হল:
- তাৎক্ষণিকভাবে খেলার পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ ছাড়াও খেলার অগ্রগতি অনুযায়ী আপনার বেটিং কৌশলও পরিবর্তন করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, যদি ভারত কোন ম্যাচের শুরুতে ভালো না খেলে কিন্তু পরে উন্নতি করে, আপনি সেই অডস পরিবর্তনের সুবিধা নিতে পারেন।
- লাইভ বেটিং খেলার প্রতি বেটরদের সম্পৃক্ত রাখে, কারণ প্রতিটি রেইড ও ট্যাকলের সময় তাৎক্ষণিকভাবে বাজি ধরার সুযোগ তৈরি হয়।
- আমাদের অভিজ্ঞতা বলে লাইভ বেটিংয়ে সফলতার জন্য লাইভ স্ট্রিমিং এবং ম্যাচ বিশ্লেষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের সুপারিশকৃত বেটিং সাইটগুলো যেমন Baji, 1xbet, Melbet সবগুলোই লাইভ স্ট্রিমিং অফার করে। একই সাথে আপনি প্রি-ম্যাচ স্ট্যাটিস্টিকস এবং লাইভ বিশ্লেষণও ব্যবহার করতে পারেন।
কাবাডি বেটিং এর বোনাস ও প্রোমোশন
কাবাডি বেটিং সাইটগুলো প্রায়ই নতুন ও পুরাতন গ্রাহকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের বোনাস দিয়ে থাকে। এগুলো ব্যবহার করে আপনি সহজেই আপনার বাজেটের বেশি বাজি ধরতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে কোন বোনাসই শর্তাবলী না পরে ক্লেইম করা উচিত নয়। আমাদের বিশেষজ্ঞরা সহজলভ্য কিছু বোনাস আপনার জন্য একত্রিত করেছেন।
নতুনদের জন্য ওয়েলকাম বোনাস
বেশিরভাগ কাবাডি বেটিং প্ল্যাটফর্ম নতুন ব্যবহারকারীদের আকৃষ্ট করতে ওয়েলকাম বোনাস অফার করে। যেমন, 1xBet এবং Melbet আপনার প্রথম ডিপোজিটের উপর ১০০% পর্যন্ত বোনাস প্রদান করে। Baji অফার করে ৭৭%।
এই বোনাসগুলো প্রো কাবাডি লিগ বা এশিয়ান কাবাডি চ্যাম্পিয়নশিপের মতো বড় ইভেন্টগুলোতে বাজি ধরতে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ডিপোজিট করে বোনাস ক্লেইম করতে হয় যা সাধারণত ১০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
এই ধরনের অফারগুলো বেটরদের জন্য একটি উপরি পাওনা যা তারা আরও বেশি বাজি ধরতে ব্যবহার করতে পারে। তবে যেকোনো বোনাস ক্লেইম করার আগে অবশ্যই সেগুলোর শর্তাবলী পড়ে নিতে হবে।
পুরনোদের জন্য ফ্রি বেট ও লয়্যালটি প্রোগ্রাম
অনেক কাবাডি বেটিং প্ল্যাটফর্ম নিয়মিত ব্যবহারকারীদের জন্য ফ্রি বেট এবং লয়্যালটি প্রোগ্রাম অফার করে। উদাহরণস্বরূপ, 1xBet এবং Melbet প্রো কাবাডি লিগের মতো বিশেষ কাবাডি টুর্নামেন্টের সময় ফ্রি বেট অফার করে থাকে। এই ফ্রি বেটগুলো ব্যবহার করে নিজের জমাকৃত অর্থের ঝুঁকি ছাড়াই বাজি ধরা যায়।
এছাড়াও রয়েছে লয়্যালটি প্রোগ্রাম যেখানে আপনার প্রতিটি বাজির জন্য একটি পয়েন্ট পাবেন। পরবর্তীতে এই পয়েন্টগুলো ক্যাশ বোনাস বা ফ্রি বেটে রূপান্তর করা সম্ভব। কাবাডির জন্য আলাদাভাবে এসবের প্রোগ্রামের গুরুত্ব না থাকলেও এখানে থেকে প্রাপ্ত অর্থ আপনি কাবাডি বাজি ধরতে ব্যবহার করতে পারবেন।
বোনাস যাচাই করার কৌশল
কাবাডি বেটিং সাইটে সঠিক বোনাস নির্বাচন করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপগুলো নিচে দেওয়া হল:
- ওয়েজারিং রিকোয়ারমেন্ট পরীক্ষা করুন: বোনাস নির্বাচনের আগে ওয়েজারিং এর শর্তগুলো পরীক্ষা করা জরুরি। অনেক ক্ষেত্রেই বোনাসটি আকর্ষণীয় মনে হলেও এর ওয়েজারিং রিকোয়ারমেন্টস বেশি হলে টাকা উইথড্র করা কঠিন হতে পারে। সাধারণত ৫-১০ বার ওয়েজার করা সহজসাধ্য।
- ন্যূনতম জমা: বোনাস সক্রিয় করতে ন্যূনতম জমার পরিমাণ খুঁজে বের করুন। এটি যত কম হবে আপনি তত সহজেই বাজি ধরা শুরু করতে পারবেন।
- মেয়াদ: বোনাসের মেয়াদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন বোনাস নির্বাচন করুন যেগুলো আপনাকে শর্তগুলো পূরণের জন্য পর্যাপ্ত সময় দেয়। 1xbet ও Melbet ৩০ দিন সময় দেয় যা যথেষ্ট।
- বোনাস পরিমাণ বনাম অডস: বোনাস বেছে নেয়ার আগে এর ন্যূনতম অডস দেখে নিন। যদিও এটি বোনাসের গুণগত মানে কোন প্রভাব ফেলে না, এটি ভুল হলে ওয়েজারিং সম্পূর্ণ হবে না। একুমুলেটর বেটের ক্ষেত্রে এটি ১.৪০ এবং সিঙ্গেল বেটের ক্ষেত্রে ১.৭০ এর আশেপাশে হয়ে থাকে।
নির্ভরযোগ্য কাবাডি বেটিং সাইট নির্বাচন প্রক্রিয়া
কাবাডি বেটিং সাইট নির্বাচন করার সময় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বিবেচনা করা প্রয়োজন যেগুলো আপনাকে নিরাপদ, লাভজনক এবং উপভোগ্য অভিজ্ঞতা দিবে। বেটিং সাইটের আইনগত বৈধতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন বেটিং মার্কেট পর্যন্ত প্রতিটি বিষয় নির্ভরযোগ্যতার একটি অপরিহার্য অংশ। নিচে এই বিষয়গুলোর বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হল।
লাইসেন্স এবং নিয়ন্ত্রণ
বাংলাদেশে যেকোনো কাবাডি বেটিং সাইট নির্ভরযোগ্য কিনা তা যাচাই করার প্রথম ধাপ হল তার লাইসেন্স এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা। বর্তমান বিশ্বে অনেক সুপরিচিত লাইসেন্সিং অথোরিটি রয়েছে যার অনেকগুলোই বাংলাদেশে বৈধ। কাবাডি বেটিং সাইট খোঁজার সময় নিচের লাইসেন্সগুলোর কোন একটি আছে কিনা তা দেখে নেওয়া উচিত।
- ইউকে গ্যাম্বলিং কমিশন (UKGC)
- মাল্টা গেমিং অথরিটি (MGA)
- কিউরাছাও ইগেমিং (Curacao eGaming)
- জিব্রালটার বেটিং এবং গেমিং অ্যাসোসিয়েশন
একটি বৈধ লাইসেন্স বেটিং সাইটের আইনগত ও নৈতিক মান নিশ্চিত করে। এছাড়াও এটি সাইটের নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার একটি পরিমাপক। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনি সাইটের ফুটার সেকশন, অ্যাবাউট আস (About Us), বা শর্তাবলী (Terms and Conditions) পেজে লাইসেন্স সংক্রান্ত তথ্য পাবেন।
বোনাস এবং প্রোমোশন
অনলাইন বেটিং এর ক্ষেত্রে বোনাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেশিরভাগ কাবাডি বেটিং সাইটই বিভিন্ন ধরণের বোনাস অফার করে, যেমন ওয়েলকাম বোনাস, নো ডিপোজিট বোনাস, ফ্রি বেট, একুমুলেটর বুস্ট, ক্যাশব্যাক, ইত্যাদি।
ওয়েলকাম বোনাস দেওয়া হয় নতুন গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি আপনার ডিপোজিটের সমান বোনাস বা ফ্রি বেট হিসেবে পাওয়া যায়। তবে যেকোনো ওয়েলকাম বোনাস ক্লেইম করার আগেই এর শর্তগুলো স্বচ্ছ এবং সহজবোধ্য কিনা তা যাচাই করুন।
ওয়েলকাম বোনাসের পর অনেক কাবাডি বেটিং সাইট ফ্রি বেট এবং নো ডিপোজিট বোনাস দিয়ে থাকে। এ ধরনের বোনাসের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল বেট করা আপনার নিজের টাকা খরচ করতে হয় না। তবে এক্ষেত্রে ওয়েজারিং রিকোয়ারমেন্টস কিছুটা বেশি থাকে।
এছাড়াও নিয়মিত বেটারদের জন্য ক্যাশব্যাক ডিল, লয়্যালটি পুরস্কার বা ভিআইপি প্রোগ্রাম থাকে। বিশেষ করে আপনি যদি নিয়মিত বাজি ধরেন তাহলে এ ধরনের বোনাসগুলো কাজে লাগাতে পারবেন।
যেসব সাইট বেশি বোনাস অফার করে এবং যার ওয়েজারিং রিকোয়ারমেন্ট কম, সেগুলো সাধারণত ভালো সাইট।
বেটিং মার্কেটের বৈচিত্র্য ও অডস
একটি নির্ভরযোগ্য কাবাডি বেটিং সাইট শুধুমাত্র ম্যাচের ফলাফলের বাইরেও বিভিন্ন ধরণের বেটিং মার্কেট অফার করে। এই ধরণের বেটিং অপশনগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে, আউটরাইট বেটিং, ম্যাচ বেটিং, ওভার/আন্ডার, কারেক্ট স্কোর, হ্যান্ডিক্যাপ, ম্যাচের মোট পয়েন্টসহ আরও অনেক কিছু।
অনেক অনেক মার্কেট ছাড়াও সাইটটি প্রতিযোগিতামূলক অডস সরবরাহ করছে কিনা তা যাচাই করুন। সাধারণত অডস যত বেশি হয়, আপনার মার্জিনও তত বেশি হয়। মনে রাখবেন অডসে সামান্য পার্থক্য দীর্ঘমেয়াদে আপনার লাভের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে।
পেমেন্ট মেথড
যেহেতু কাবাডি বেটিং এ আসল টাকার ব্যাপার আছে, বিভিন্ন ধরনের নিরাপদ পেমেন্ট অপশন থাকা খুবই প্রয়োজন। আমাদের অভিজ্ঞতা বলে নির্ভরযোগ্য সাইটগুলো সুপরিচিত পেমেন্ট মেথডই অফার করে।
ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড (ভিসা, মাস্টারকার্ড), ই-ওয়ালেট (স্ক্রিল, নেটেলার, পেপ্যাল), ব্যাংক ট্রান্সফার, ও ক্রিপ্টোকারেন্সি (বিটকয়েন, ইথেরিয়াম) বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় মেথডের মধ্যে অন্যতম। এছাড়াও বাংলাদেশের জনপ্রিয় মেথড যেমন বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায়, শিওরক্যাশ, ইত্যাদি তো রয়েছেই।
মেথডের প্রাচুর্য ছাড়াও লেনদেনের ফি এবং উত্তোলনের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। সাধারণত, বিশ্বস্ত সাইটগুলো দ্রুত উত্তোলনের সুবিধা দেয় যা ই-ওয়ালেটের ক্ষেত্রে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এবং ব্যাংক ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে ৩-৫ দিন। কোন অতিরিক্ত ফি দিতে হলে তা দীর্ঘমেয়াদে সুবিধাজনক নাও হতে পারে।
গ্রাহক সেবা
বেটিং সাইটের গ্রাহক সেবা অনেক ক্ষেত্রেই আপনার অভিজ্ঞতার উপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। ভালো গ্রাহক সেবা যেমন সবকিছু মসৃণ করে, খারাপ সেবা বেটিং এর মজা অনেকটাই নষ্ট করে দেয়। বর্তমানে বেটিং প্ল্যাটফর্মগুলো বিভিন্ন মাধ্যমের মাধ্যমে সাহায্য প্রদান করে যেমন লাইভ চ্যাট, ইমেইল সাপোর্ট, ফোন সাপোর্ট, টেলিগ্রাম সাপোর্ট, ইত্যাদি।
সব ধরনের সাপোর্টের ক্ষেত্রেই ২৪/৭ সেবা অগ্রাধিকার পাবে, বিশেষত যদি আপনি ভিন্ন টাইম জোনের হয়ে থাকে। ফোন সাপোর্টের ক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন লাইনটি টোল-ফ্রি কিনা। তা না হলে আন্তর্জাতিক কলের ক্ষেত্রে অনেক বেশি বিল আসবে।
সরাসরি যোগাযোগের পাশাপাশি কাবাডি বেটিং সাইটে একটি FAQ বিভাগ থাকা উচিত যেখানে সাধারণ সমস্যাগুলোর সমাধান দেওয়া থাকবে।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
লাইসেন্সের পাশাপাশি নির্ভরযোগ্য কাবাডি বেটিং সাইটগুলো ব্যবহারকারীর তথ্য এবং আর্থিক লেনদেন রক্ষায় আধুনিক নিরাপত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকে। খেয়াল রাখবে যেসব সাইট আপনি নির্বাচন করছেন সেগুলোতে নিম্নের ফিচারগুলো রয়েছে কিনা।
- SSL এনক্রিপশন: এটি মূলত নিশ্চিত করে যে ব্যবহারকারী এবং সাইটের সার্ভারের মধ্যে সব যোগাযোগ সুরক্ষিত কিনা। ব্যাংকের তথ্য কিংবা পাসওয়ার্ডের মত সংবেদনশীল তথ্যের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি।
- টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA): যদিও আবশ্যক নয়, লগইনের জন্য একটি অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকলে ভালো। এক্ষেত্রে আপনার পাসওয়ার্ড চুরি গেলেও কেউ অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে পারবে না।
- ফেয়ার প্লে অডিট: কিছু সংস্থা যেমন eCOGRA, GLI, এবং iTech Labs ইন্ডাস্ট্রিতে স্বচ্ছতা যাচাই করার জন্য বেশ জনপ্রিয় সেরা কাবাডি বেটিং সাইটগুলো প্রায়শই এসব সংস্থা দ্বারা তাদের টেকনোলজি অডিট করা হয়।
- নিরাপত্তা সিল: অনেক সাইটেই ফুটার সেকশনে কিছু নিরাপত্তার সিল বা সার্টিফিকেশন থাকে। আপনার নির্বাচিত বেটিং সাইটে এমন কিছু থাকলে আপনি নিরাপত্তা নিয়ে আরও বেশি নিশ্চিন্ত হতে পারবেন।
মোবাইল কম্প্যাটিবিলিটি
মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা বর্তমানে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের তুলনায় অনেক বেশি। একই কারনে মোবাইল থেকে বাজি ধরার মানুষের সংখ্যাও বেশি। একটি ভালো কাবাডি বেটিং সাইটের উচিত ব্যবহারবান্ধব মোবাইল প্ল্যাটফর্ম বা অ্যাপ সরবরাহ করা।
অ্যাপ এর পাশাপাশি একটি মোবাইল-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস থাকা উচিত যেন ছোট স্ক্রিনে সহজেই বাজি ধরা যায়। কিছু সাইট বিশেষ অ্যাপস সরবরাহ করে যেখানে লাইভ ম্যাচের নোটিফিকেশন এবং এক্সক্লুসিভ প্রোমোশনের মতো অতিরিক্ত বৈশিষ্ট্য থাকে।
সবশেষে রয়েছে লাইভ বেটিং যা বর্তমানে বাংলাদেশের অনেকেই পছন্দ করে। প্রায় সব ভালো মোবাইল প্ল্যাটফর্মই আজকাল লাইভ বেটিং সমর্থন করে। যদি সাইটে লাইভ স্ট্রিমিং থাকে তবে তাও মোবাইল অ্যাপে পাওয়া সম্ভব।
সাইটের খ্যাতি এবং ব্যবহারকারী পর্যালোচনা
সবশেষে দেখতে হবে ব্যবহারকারীদের মধ্যে সাইটটি সম্পর্কে ধারনা কী। এসব তথ্য আপনি বিভিন্ন ধরনের ফোরাম, রিভিউ সাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাবেন। যেমন Trustpilot এবং AskGamblers এর মতো সাইটে বেটিং সাইটগুলোর রেটিং এবং পর্যালোচনা পাওয়া যায়। এই থ্রেডগুলোতে আগের গ্রাহকরা তাদের মতামতও শেয়ার করেন।
কোন সাইট সম্পর্কে ভালো মন্তব্য পড়েই সাইট আপ করতে ঝাঁপিয়ে পরবেন না। আগে নিজে পর্যালোচনা করুন। একই সাথে আমাদের মত বিশ্বস্ত অ্যাফিলিয়েট সাইটগুলো ঘাটুন। এভাবে আপনি যেকোনো বেটিং প্ল্যাটফর্মই যাচাই করতে পারবেন।